Header Ads

Header ADS

আমি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই কিভাবে করবো?

 বর্তমানে সবচাইতে বেশি নজরে আসা প্রশ্নের মধ্যে এটাও একটা

" আমি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই কিভাবে করবো?"

আজকে আলোচনা করব এই টপিকটা নিয়েই ।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান? ওকে ভালো কথা । তবে আপনার কাছে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটা আমি করব সেটা হলো " আপনি ইংরেজিতে কেমন?" দয়া করে আমাকে বলবেন না যে, "আমি ইংরেজিতে মোটামুটি পারি" এটা কোনো উত্তর এর মধ্যে পড়ে না ।
আচ্ছা যাই হোক, এতো জব থাকতেও কেন ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? যদি উত্তর হয় বেশি টাকা কামানো বা এই ধরণের কিছু তাহলে আপনাকে অনুরোধ করব এসব ভুলে যান । কেন ভুলে যেতে বলছি আপনাকে শুনুন তাহলে, আমাদের গ্রুপে অনেকেই দেখবেন কমেন্টে সিডি/ডিভিডি/ইউডিমি/লিন্ডা/ইউটিউব এর ফ্রি কিছু কোর্স বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। তাদের হেড লাইন গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কেন আমি আপনাকে বেশি টাকা কামানোর চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিতে বলেছিলাম । যাইহোক, মূল কথা ফিরে আসা যাক।
মূল ব্যাপারে যাওয়ার আগে চলুন যেনে নেওয়া যাক

ফ্রিল্যান্সিং কি?

একদম ইজি ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মাধ্যম বা উপায়, যার মাধ্যম আপনারা অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। ধরুণ, আপনি কোনো প্রাইভেট কম্পানিতে জব করতে গেছেন । আপনাকে সকাল ৮-১০টার মধ্যে অফিসে প্রবেশ করতে হবে । এবং বের হতে হবে রাত ৮-১০টায় । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ এই ব্যাপারটা ধরাবাধা নেই । তবে যদি কোনো ইমার্জেন্সি ট্যাস্ক হয় তাহলে ২-৩ দিন ঘুম নাও হতে পারে । কারণ আমার এমন হয়েছে মাঝে মধ্যে। যাইহোক, ফ্রিল্যান্সিং করে স্বনির্ভর (self-employed) হওয়া যায় । তাই, ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিল্যান্স এর মানেই হলো স্বাধীন ভাবে কাজ করা বা মুক্তপেশা। এটাও এক ধরণের ব্যবসার সাথে তুলনা করলে ভুল হবে না। ফ্রিল্যান্সিং প্রথম শুরু হয়েছিলো ১৯৯৮ সালের দিকে। অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলা হয়েছিলো, সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরু। ব্যাপারটা বেশ মজাদার। ধরাবাধা অফিস টাইম নেই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়।
এখানে দুই পক্ষ থাকেন। ক্লায়েন্ট আর ফ্রিল্যান্সার। ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে থাকেন, আর একটা নির্দিষ্ট সময়ের (যেটি ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করা হয়) মধ্যে কাজ শেষ করে ক্লায়েন্টকে পাঠিয়ে দিতে হয়। ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরুর আগেই চুক্তি করা হয় পারিশ্রমিক নিয়ে। কাজ হয়ে গেলে, ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়। ব্যস, হয়ে গেল একটি সফল ফ্রিল্যান্সিং! (সংগৃহীত)

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান?

প্রথমে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সে বিষয়ে ছোটখাটো একজন এক্সপার্ট হয়ে যেতে হবে আপনাকে। আপনি যদি কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেশি কাজ পাবেন। এখানে বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই অবাঙ্গালী হয়ে থাকেন। তাই তাদের সাথে যোগাযোগের জন্যে ইংরেজি ভাষাটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যতো অভিজ্ঞতা, কাজ পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি।

কোথায় কাজ করবো?

এতক্ষণে অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগছে, ‘”সবই বুঝলাম, কিন্তু এই ক্লায়েন্ট-ফ্রিল্যান্সার লেনদেনের ব্যাপারটা হবে কোথায়?” এই ‘ব্যাপারটা’ হবে মার্কেটপ্লেসে। না, এটি কিন্তু কাঁচাবাজার কিংবা পাইকারি বাজার নয়। এটি সম্পুর্নই অনলাইন নির্ভর একটি মার্কেট যার মাধ্যমে ক্লায়েন্টরা খুঁজে পান ফ্রিল্যান্সারদের। মার্কেটপ্লেসে পুরো ব্যাপারটা ঘটে সুসংগঠিত একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
প্রথমে ক্লায়েন্ট বা ক্লায়েন্টরা মার্কেটপ্লেসে আসেন। সেখানে তারা ফ্রিল্যান্সারদের করা বিভিন্ন বিড পর্যালোচনা করে দেখেন। একজন ফ্রিল্যান্সার তার করা বিডে বলে দেয় যে সে কাজটি কত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারবে আর কতো পারিশ্রমিক লাগবে। ক্লায়েন্ট তারপর সব বিড থেকে যেটিকে সবচেয়ে যোগ্য মনে করবেন, সেটিই গ্রহণ করবেন। তারপর ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করে ক্লায়েন্ট কাজের ব্যাপারে সবকিছু সম্পন্ন করেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ পরিশোধ করে দেয়া হয়। (সংগৃহীত)
কোনো কিছু জানার থাকলে কমেন্টস করতে পারেন । আগামী পর্বে কি নিয়ে পোস্ট দেখতে চান কমেন্ট করে জানা। আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান দিতে পারবো । ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.